চীনে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন : ভিসা নিয়ে মাইবিদেশ থাকছে আপনার পাশে

study in china with mybidesh.com মাই বিদেশ MyBidesh mybidesh study visa

কেনো আপনি চীনে পড়তে যাবেন

“পিপলস রিপাবলিক অব চায়না” – আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দেশটির রাজধানী বেইজিং , ভাষা মান্দারিন আর মুদ্রা ইউয়েন। উৎপাদন, শিল্প, কৃষি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই যেন সবার শীর্ষে অবস্থান করছে।

আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, খেলাধূলা ও গবেষণা থেকে শুরু করে কি নেই এই সব সম্ভবের দেশে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে চীন উৎকর্ষতার শিখরে- ফলে এই দেশে পড়াশুনা করলে বিশ্বের প্রযুক্তি বিষয়ে নিজের দৃষ্টিসীমা প্রসারিত হবে এবং আপনি গড়তে পারবেন নিজের জন্য একটি আলোকিত ভবিষ্যৎ ।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসাবে আপনার জন্য উচ্চ শিক্ষায় নতুন এক গন্তব্য হলো চীন। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে ভর্তি, আকর্ষণীয় বৃত্তি এবং শিক্ষা শেষে চাকরির সুযোগ।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে, চীনে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ২ হাজার ৮৫০টি, যার মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই প্রায় আড়াই হাজার। এ ছাড়া বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৩০০। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৭ সালে বাইরে থেকে চীনে পড়তে গেছেন প্রায় ৪ লাখ ৪২ হাজার শিক্ষার্থী। ২০০০ সালে সংখ্যাটা ৫২ হাজার ১৫০ জন।

২০২২ সাল থেকে প্রতি বছর অন্তত ৬ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করছে চীন। মানসম্মত শিক্ষা, বাংলাদেশের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার সুযোগ, বৃত্তিসুবিধা এবং তুলনামূলক কম খরচের কারণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের চীন যাচ্ছে ।
তাই একটি আলোকিল ভবিষ্যৎ ও সুন্দর ক্যারিয়ার এর জন্য আপনার চীনে যাওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

কয়েক বছর আগে চীনে কোন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করতে গেলে সে রেস্টুরেন্ট, বার কিংবা অন্য কোথায় কাজ করতে পারতো না। এতদিন সে নিয়ম ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। এতে করে অর্থ উপার্জনের নতুন একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

কেউ যদি রেস্টুরেন্টে কাজ করে তাহলে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবে। এটা দিয়ে ভালো একটা লাইফ লিড করতে পারবে। এছাড়া ও শিক্ষার্থী তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কাজ করে উপার্জন করতে পারবে ও ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারবে।

যেভাবে ভর্তির আবেদন করা হয়

চীনে যেহেতু পাশ মার্ক ৬০%। তাই আপনার একাডেমিক পরীক্ষায় ৬০% এর অধিক মার্ক থাকলে আপনি চীনে যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি ৮০% মার্ক পেলে স্কলারশিপ পেতে আপনার সুবিধা হবে। আর ডিপ্লোমা কোর্সে আবেদন করতে আপনার থাকতে হবে HSC- তে ৪.৪৩ পয়েন্ট। ব্যাচেলরে আবেদন করতে আপনাকে SSC ও HSC তে আপনার সব মিলিয়ে থাকতে হবে ৮.০ পয়েন্ট। মাস্টার্সে আবেদন করতে থাকতে হবে ৩.২০ আর পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হবে ৩.৪০ পয়েন্ট সাথে থাকতে হবে পাবলিশড রিসার্চ পেপার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ফি বছর পরিবর্তন হয়।

উল্লেখ্য যে ইউরোপ বা আমেরিকার মত চীনে পড়াশুনা করতে GRE/ GMAT/ SAT/ ACT কিম্বা নিদেন পক্ষে IELTS/ TOEFL জাতীয় কোন পরীক্ষায় বসতে হবে না।

চীনা ভাষা কি জানতেই হবে?

চীনে পড়তে গেলে চীনা ভাষা জানতেই হবে—এমন নয়। চীনা ভাষায় যাঁদের পুরোপুরি দখল নেই, তারপরও পড়ালেখা শেষ করে তাঁরা শিক্ষক হয়ে গেছেন। চীনের পরিবেশটাই এমন, কেউ দুই বছর থাকলে এমনিতেই ভাষাটা শেখা হয়ে যায়। তা ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বিনা মূল্যে চীনা ভাষার কোর্স আছে। তাই ভাষা খুব একটা বাধা নয়।

কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

চীন বছরে দুইটি সেমিস্টারের মাধ্যমে অফার করে বিভিন্ন ধরণের কোর্স। আপনি গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, মাস্টার্স, সিনিয়র স্কলার, জেনারেল স্কলার অথবা পিএইচডি সহ যে কোন প্রোগ্রামে যেতে পারেন ।

বর্তমানে চীনে মেডিকেল ও স্বাস্থ্যবিষয়ে পড়াশোনার জন্য বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চীনের যেকোন রেজিস্টার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে পড়াশুনা শেষ করে এসে আপনি বাংলাদেশে প্রকটিস করতে পারবেন। শুধু আপনাকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে সম্মতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ও এখন বেশ উন্নত ও তারা বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষা প্রদান করে আসছে।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

চীনে আবেদনের জন্য সকল ডকুমেন্টস নোটারাইজড করে দিতে হবে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় আবার আপনার সার্টিফিকেট চাইনীজ ভাষা/ মান্দারিন ভাষায় চেয়ে থাকে। তাদের জন্য আপনাকে অনুবাদক দিয়ে আপনার ডকুমেন্টস অনুবাদ করিয়ে নিতে হবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন ইংরেজীতে প্রদত্ত সকল সার্টিফিকেট এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আগেই বলেছি চীনে দুইটি সেমিস্টার পড়ানো হয় প্রতি বছরঃ যার একটি মার্চে শুরু হয় আর অপরটি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পরবে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

  • সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট (অবশ্যই নোটারাইজড)
  • Study Plan ও ২ টি রিকমেন্ডেশন লেটার (সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপকের কাছ থেকে নিতে হবে)
  • পাসপোর্টের কপি ও সাদা ব্যাক-গ্রাউন্ডের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (নোটারাইজড)
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
  • জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, বায়ো-ডাটা

ভিসা আবেদন করার জন্য যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে

  • বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Admission Letter এবং JW 202
  • সকল নোটারাইজড ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ
  • পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ
  • রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • IELTS এর সনদ (যদি থাকে)
  • স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

চীনের আবাসন ও জীবনযাত্রার ব্যয় ও যাতায়াত ব্যাবস্থা

চীনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হোস্টেল। হোস্টেলে থাকতে আপনাকে দিতে হবে ভার্সিটিভেদে বাৎসরিক ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।

সকল দেশের মত এই দেশেও খরচ নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের মত। তবে নিজে রান্না করে খেলে আপনি প্রভিন্সভেদে মাসিক ৪০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকায় সেরে নিতে পারবেন। আর যদি বাইরে খান তাহলে এই খরচ মাসিক ২০,০০০ টাকার মত লেগে যাবে।

চীনের যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন বেশ ভালো, তেমনই বেশ সাশ্রয়ী।

মোটামোটি ভালো একটা ধারনা পেলেন। এবার আপনার কাজ হলো চীনে উচ্চ শিক্ষার জন্য মনস্থির করে মাইবিদেশ এর মাধ্যমে আবেদন থেকে শুরু করে চীনে পৌছানো পর্যন্ত সব ধরনের সার্ভিস নেওয়া। কারন আমাদের কাছে আছে চীনের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিষয়গুলোতে পড়ার স্টাডি ভিসার নিশ্চয়তা । তাই আর দেরী না করে আজই আপনার অ্যাপয়েনমেন্ট বুক করুন এখান থেকে। অথবা যোগাযোগ করুন আমাদের হটলাইন নাম্বার +88001787824141 তে। (নাম্বারের উপর ক্লিক করে হোয়াটসঅ্যাপও করতে পারেন)

Sabbir

Entrepreneur, Software Developer, HR Tech Expert, Marketing Strategist

Leave a Comment