চীনে বিনামূল্যে পড়াশুনা: যে বিষয় না জানলে আপনি ১০০% পস্তাবেন

চীনে পড়াশুনা করতে হলে যেসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখা ভালো। 

এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কি স্নাতকের জন্য চীনে পড়তে যাওয়া যায়?

অধিকাংশ  বিদেশি শিক্ষার্থী স্নাতক প্রোগ্রামের অধীনেই চীনে পড়তে আসেন। চীনা ও ইংরেজি—দুই মাধ্যমেই পড়া যায়। বাংলাদেশীরা ইংরেজি মাধ্যমেই পড়াশোনা করে। তারপরও শিক্ষার্থীর জীবনযাপনে সুবিধার জন্য চীনা ভাষার উপর বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রী কোর্সের ব্যাবস্থা রাখে। 

তবে চীনা মাধ্যমে পড়তে হলে আগে থেকেই চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। অথবা এখানে এসে ১ বছর চীনা ভাষা শিখে তারপর মূল কোর্সে প্রবেশ করতে হয়। চীনা ভাষায় পড়লে বেশ কয়েকটি সুবিধা আছে। বৃত্তি পাওয়া যেমন সহজ, বৃত্তির সুযোগ-সুবিধাও তেমনি বেশি। প্রকৌশল, মেডিকেল, ব্যবসায় শিক্ষাসহ সব ধরনের বিষয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ এখানে আছে। তবে মেডিকেল স্কুলগুলোয় পড়তে চাইলে আগে থেকেই বিএমডিসির (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়।

চীনে পড়তে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো বৃত্তি কোনগুলো ?

সবচেয়ে ভালো বৃত্তি হলো চীনা সরকারি বৃত্তি (সিএসজি)। চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল থেকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়। www.campuschina.org ওয়েবসাইটে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এই বৃত্তির জন্য আবেদন করার দুটি পথ আছে। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন অথবা বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আবেদন। টিউশন ফি, হোস্টেল ফি, স্বাস্থ্যবিমা—সবই বৃত্তির আওতায় পড়ে। ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির জন্য যথাক্রমে ২ হাজার ৫০০, ৩ হাজার এবং ৩ হাজার ৫০০ ইউয়ান দেওয়া হয়। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় যথাক্রমে ৩৬ হাজার, ৪৩ হাজার এবং ৫০ হাজারের সমতুল্য। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে আবেদন (টাইপ এ) করলে চীনে যাওয়া এবং ফিরে আসার খরচ দেওয়া হয়। তবে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন করলে এ সুযোগ থাকে না।

চীনের সরকারি বৃত্তির জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে?

বৃত্তি পাওয়া খুব একটা কঠিন না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা আছে। সব স্কুলেই স্নাতক আবেদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাগে। প্রথম কাতারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আইইএলটিএস বা এইচএসকে (চীনা ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা) দরকার হয়। তবে কেউ যদি ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করে থাকে, তাহলে এমওআই (মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন) সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। এবার বলি—কোন কোন বিষয় বৃত্তি পেতে সাহায্য করে। প্রথমত, একটা ভালো ‘স্টাডি প্ল্যান’ লেখা খুব জরুরি। সহশিক্ষা কার্যক্রমকে এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। চীনা ভাষা বা সংস্কৃতির ওপর কোনো কোর্স বা অভিজ্ঞতা থাকলে সংযুক্ত করা যেতে পারে। মাস্টার্স বা পিএইচডি লেভেলে আবেদনের জন্য যদি পাবলিকেশন থাকে, সংযুক্ত করা যাবে। এটা বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়। গবেষণার অভিজ্ঞতাকে খুবই প্রাধান্য দেওয়া হয়। চীনা সরকারি বৃত্তির জন্য কমপক্ষে দুটি ‘রিকমেন্ডেশন লেটার’ প্রয়োজন হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক বৃত্তির কোটা থাকে। তাই পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি।

 

আর যেসব বৃত্তি আছে?

ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই টিউশন ফি মওকুফের বৃত্তি আছে। স্নাতক শ্রেণিতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়লে এই বৃত্তি তুলনামূলক সহজে পাওয়া যায়। চীনের প্রতিটি প্রদেশের আলাদা বৃত্তি আছে। এই বৃত্তিগুলোকে বলা হয় প্রভিন্সিয়াল স্কলারশিপ। সাধারণ বৃত্তিগুলোর পাশাপাশি পিএইচডি ফেলোশিপ বা বিশেষ ট্যালেন্ট বৃত্তি আছে। এগুলো পুরোপুরি গবেষণানির্ভর প্রোগ্রামগুলোর জন্য। এই ফেলোশিপগুলোতে টাকার পরিমাণ সাধারণ বৃত্তির চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এর বাইরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বেল্ট অ্যান্ড রোড বৃত্তি, মফকম বৃত্তি, এন্টারপ্রাইজ বৃত্তিসহ নানা ধরনের বৃত্তি চালু আছে।

চীনে পড়তে হলে কি চীনা ভাষা কি শিখতেই হবে? 

চীনে পড়তে হলে চীনা ভাষা শেখাটা বাধ্যতামূলক না। তবে এখানে জীবনযাপন সহজ করার জন্য চীনা ভাষা শেখা জরুরি। চীনে ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে এলেও বিশ্ববিদ্যালয় জেনারেল কোর্স হিসেবে ১-২টি চীনা ভাষার কোর্স দিয়ে থাকে। এগুলো থেকে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করা যায়। আমাদের দেশে অনেকেরই চীনা ভাষাভীতি আছে। কিন্তু এখানে এলে ভাষা শেখাটা সহজ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চীনা ভাষার অনেক ফ্রি কোর্স অফার করে। ওগুলোতে অংশ নিলেও ধীরে ধীরে ভাষাটা আয়ত্তে চলে আসে। আর ওই ক্লাসগুলো খুবই মজার হয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা শেখাটা বাধ্যতামূলক। যাঁরা চীনা ভাষা জানেন, তাঁরা চাকরির বাজারে আলাদা কদর পান। তাই আমার মনে হয় ভাষাটা শিখে নেওয়াই ভালো। প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ চীনা ভাষায় কথা বলে। অতএব নিশ্চয়ই এমন একটা ভাষার সুবাদে আপনার সামনে খুলে যেতে পারে সুযোগের অনেক দরজা।

চীনের আবাসন ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার ব্যয় কেমন? 

চীনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হোস্টেল। হোস্টেলে থাকতে আপনাকে দিতে হবে ভার্সিটিভেদে বাৎসরিক ৩০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা।

সকল দেশের মত এই দেশেও খরচ নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের মত। তবে নিজে রান্না করে খেলে আপনি প্রভিন্সভেদে মাসিক ৪০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকায় সেরে নিতে পারবেন। আর যদি বাইরে খান তাহলে এই খরচ মাসিক ২৫,০০০ টাকার মত লেগে যাবে।

চীনের যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন বেশ ভালো, তেমনই বেশ সাশ্রয়ী।

কেউ বৃত্তি ছাড়া পড়তে চাইলে খরচ কেমন?

বৃত্তি ছাড়া পড়ার জন্য মেডিকেল স্কুলগুলোয় খরচ একটু বেশি। তবে প্রকৌশল, ব্যবসায় শিক্ষাসহ অন্যান্য অনুষদে লেখাপড়ার জন্য খরচ কিছুটা কম। টিউশন ফি একেক স্কুলে একেক রকম। 

ঘরে বসে যেভাবে  চীনা ভাষা শিখতে পারেন ?

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কনফুশিয়াস ইনস্টিটিউট, ঢাবির ভাষা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শিখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এ ছাড়া চীনের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে বিদেশিদের জন্য কিছু কোর্স অফার করে। এগুলোকে বলে ‘চায়না ব্রিজ উইন্টার ক্যাম্প’ বা ‘চায়না ব্রিজ সামার ক্যাম্প’। এই ক্যাম্পগুলোতে কম্প্রিহেনসিভ চাইনিজ কোর্স থাকে। এর মাধ্যমে আপনি এইচএসকে-১ (চীনা ভাষার দক্ষতার মাত্রা) থেকে এইচএসকে-৬ সম্পন্ন করতে পারবেন। এ ছাড়া এসব অনলাইন কোর্সে চীনা সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। কোর্সগুলোর জন্য কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় টাকা নেয়, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আবার বিনা মূল্যেই করায়।এগুলো ঘরে বসে ইউটিউবেও শিখতে পারেন। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে শেখার সুবিধা হলো, আপনাকে ওরা সনদ দেবে। পরে বৃত্তি পেতে বা ভর্তি হতে গেলে এই সনদ খুবই কাজে লাগে।আওনার সবকিছু সহজ করে দিবে। 

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ আছে কি?

চীনে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ আগে ছিল না। দেড়-দুই বছর হয় সরকার অনুমতি দিচ্ছে। অন্তত ছয় থেকে সাত মাস  পড়ালেখা করে তারপর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুপারভাইজারের অনুমতি নিয়ে আপনি  কাজ করতে পারবেন । বাংলাদেশিদের সঙ্গে যেহেতু চীনাদের অনেক রকম ব্যবসা আছে, তাই অনেক কাজের সুযোগও আছে।

চীনে পড়ালেখা করে সে দেশে চাকরির সুযোগ কেমন?

চীনের লেখাপড়ার মান ভালো এবং বাস্তবমুখী। শিক্ষার্থীরা যখন কোনো চীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়, তারা একটা ভালো দক্ষতা নিয়েই বের হয়। একটা বড় অংশের ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে থাকাকালেই চাকরির অফার পেয়ে যান। পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরেও চাকরির সুযোগ আছে। বহু চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। চীনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করলে এই কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ থাকে। এ ছাড়া চীনেও বিদেশিদের জন্য একটা বিশাল চাকরির বাজার আছে। চীনের বড় কোম্পানিগুলো পৃথিবীর নানা দেশের সঙ্গে ব্যবসা করে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য নানা রকম টেকনিক্যাল এবং নন-টেকনিক্যাল কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজন হয়। এসব কোম্পানিতে বিদেশিরা সহজে চাকরি করতে পারেন।

চীনে পড়ালেখা করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? 

এইচএসসির পর বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে প্রথমেই দেখতে হবে আপনার সব প্রয়োজনীয় একাডেমিক কাগজপত্রসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস ঠিকঠাক আছে নাকি। কোনো ডকুমেন্ট বাদ পড়ে গেলে তা বানিয়ে নিতে হবে অথবা সেই সংক্রান্ত অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে৷ নিজের আপডেটেড সিভি ও কাভার লেটারসহ সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ইংরেজিতে করিয়ে নিতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে মূলত লাগবে : 

  • পাসপোর্ট
  • জম্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে)
  • এসএসসি-র সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট এবং টেস্টিমোনিয়াল
  • এইচএসসি-র ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট ও
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) লেটার
  • লেটার অব মোটিভেশন
  • লেটার অব রিকমেন্ডেশন
  • IELTS / TOEFL / ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকে থাকলে অবশ্যই দিতে হবে আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারণ করা থাকে IELTS লাগবেই সেক্ষেত্রে সংযুক্ত করতে হবে। 

ছবি এবং প্রয়োজনীয় সকল ফটোকপি অবশ্যই সত্যায়িত করে নিতে হবে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ শাখা থেকে সকল কাগজ পত্রের মূলকপি দেখানো সাপেক্ষে বিনামূল্যে সত্যায়িত করা যায়। এছাড়া নোটারি পাবলিক থেকেও সত্যায়িত করা যায়। ভর্তির কাজ অনলাইনে হলেও অনেকক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টের হার্ডকপি আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরিয়ার করে পাঠাতে হবে।

 

স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP- Statement of Purpose) কি ? 

এইচএসসি-র পর বাইরে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যেসব বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে তার মধ্যে এসওপি বা স্টেটমেন্ট অব পারপাস অন্যতম। SOP হলো আপনার ব্যক্তিগত গল্প। এখানে অমুক বিষয়টি কেন পড়তে চাচ্ছেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা কী, গ্র্যাজুয়েশন শেষে দেশে ফিরে এসে কী করবেন, অন্য দশজনকে বাদ দিয়ে আপনাকে কেন নেওয়া উচিত- ইত্যাদি বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে গল্পের মতো করে লিখতে হবে।

আপনি মানুষ হিসেবে কেমন, উচ্চশিক্ষার চাপ সামলাতে আপনি কতটুকু প্রস্তুত আছেন, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড, প্রতিভা, অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতার একটা প্রতিচ্ছবি অ্যাডমিশন কমিটি এই এসওপি থেকে জেনে নেয়। মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে আপনি যেমন, ঠিক তেমন করেই প্রাসঙ্গিক ও প্রেরণামূলকভাবে নিজেকে নিয়ে ও নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে লিখবেন।

ভিসা আবেদন করার জন্য যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে? 

  • বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Admission Letter এবং JW 202
  • সকল নোটারাইজড ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ
  • পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ
  • রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • IELTS এর সনদ (যদি থাকে)
  • স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সকল তথ্য ও ভিসার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এ।

Sabbir

Entrepreneur, Software Developer, HR Tech Expert, Marketing Strategist

Leave a Comment